এই তো বছরখানেক আগেও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয়
সিরিজগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর ছিল প্রবল অনীহা। এমন
অনেকবার হয়েছে যে বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড বা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দলগুলোর সাথে খেললেও, সেগুলো প্রচারিত হয়েছে কেবল দেশী
চ্যানেলে আর বিসিবি নির্ধারিত সম্প্রচার মাধ্যমে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী
কাভারেজ পায়নি তারা। ফলে সেসব সিরিজ সম্পর্কে অজ্ঞাতই থেকে গেছে বিশ্বের
তাবৎ ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এ কারণেই, ২০১০ সালে কিউইদের বাংলাওয়াশ করলেও,
আজও তা অনেকেরই অজানা। কারণ সে সিরিজ প্রচারিত হয়নি বাংলাদেশ ও ভারতের
বাইরে কোন চ্যানেলে। এমনকি জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেরও বেশ কিছু ম্যাচ
প্রচারিত হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার কোন চ্যানেলে। ইন্টারনেট স্ট্রিমিংই ছিল
ভরসা।
কিন্তু এখন দিন বদলেছে। বাংলাদেশ ক্রমেই বিশ্বক্রিকেটে একটা পরাশক্তি
হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছ। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের ব্যাপারে
এখন আর নাক সিঁটকায় না কেউ। বরং অধীর আগ্রহী নিয়ে অপেক্ষা করে। আর সেই
সুযোগটাই লুফে নিল যুক্তরাজ্য কেন্দ্রিক ক্রীড়া নেটওয়ার্ক স্কাই স্পোর্টস।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজের এখনো ঢের বাকি। আগামী বছরের শেষ
দিকে, সম্ভবত নভেম্বরে এদেশে সফর করবে ইংল্যান্ড। খেলবে দুই টেস্ট আর তিন
ওয়ানডে। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় আগে সেই সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ত্ব
কিনে নিল তারা। ফলে আগামী ইংল্যান্ড – বাংলাদেশ সিরিজ যে বিশ্বের সব মানুষই
একসাথে উপভোগের সুযোগ পাবে, নিশ্চিত হল তা-ও।
উল্লেখ্য, শেষবার ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ২০১০ সালে। সেবার
ইংল্যান্ড সব ম্যাচ জিতলেও শেষ চারবারের দেখায় তিনবারই জয় পেয়েছে টাইগাররা।
তার মধ্যে রয়েছে দুইটি বিশ্বকাপ ম্যাচও। এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই হেরে গিয়ে
এবারের বিশ্বকাপ থেকে লজ্জাজনক বিদায় ঘটে ইংল্যান্ডের। তাই ইংল্যান্ড যতই
এশেজ জিতুক আর যাই করুক, টাইগারদের সাথে ফের তাদের লড়াই হলে তাকে ঘিরে
বিশ্বব্যাপী উত্তেজনার পারদ যে তরতর করে উপরে উঠবে, সে বিষয়ে আগে থেকেই
অনুমান করা যায়।
0 comments:
Post a Comment